একাডেমিক প্রধানের বাণী

শিক্ষাবিহীন জাতি অনুন্নত এবং অবিকশিত। তাই কোন জাতির বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ভূমিকা অপরিহার্য। ফলে যে শিক্ষা-আদর্শে মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ রয়েছে মূলত সেটিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠমানব মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য উপহার দিয়ে গেছেন; যা সর্বজন স্বীকৃত। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, “যিনি তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেন। আর তা শিক্ষা দেন যা তোমরা জানতে না” [সূরা বাকারাহ্: ১৫১]।

সুশিক্ষায় শিক্ষিত; আদর্শ জাতি গঠনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও শিক্ষাবিদগণ তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করেছেন। কিন্তু হতাশাজনক হলেও সত্য যে জাতির সামনে এখনো সন্তোষজনক কোন শিক্ষা কারিকুলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি; যাদ্বারা ইসলামের প্রকৃত বার্তাবাহক হিসেবে জাতির সামনে উপস্থাপিত হবে, চিন্তা-মনন ও কর্মে বহন করবে পুরোপুরি সালাফে সালেহীনের আদর্শ এবং সাফল্যমণ্ডিত হবে ইহ-পরকালের উভয় জগতে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় ওহীর অবতরণ কেন্দ্রে অবস্থিত ‘মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়' হলো নবী (সল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রেখে যাওয়া শিক্ষা-আদর্শের এক অনন্য ও উজ্জ্বল নমুনা।

আলহামদুলিল্লাহ! অত্যন্ত আনন্দদায়ক খবর হলো যে, ‘মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়'-এর সম্পূর্ণ মানহাজ ও কারিকুলাম অনুকরণে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘কুল্লিয়াতুল কুরআনিল কারীম ওয়াদ-দিরাসাত আল-ইসলামিয়াহ’ নামক উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; যা আগামী দিনে বিশুদ্ধ ইলম ও মানহাজ প্রচার-প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ইসলামী বিদ্যাপীঠে রূপান্তরিত হবে ইন-শা আল্লাহ।

পরিশেষে, মহান আল্লাহর কাছে অত্র প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি, যেন দক্ষ মুখলিস আলেম গড়ার মাধ্যম হিসেবে কবুল করেন- আমীন।

বিনীত

ড. আব্দুল বাসির বিন নওশাদ

পিএইচডি, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদী আরব।

সহকারী অধ্যাপক ও একাডেমিক প্রধান, কুল্লিয়াতুল কুরআনিল কারীম ওয়াদ-দিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা।